যারা গৃহকর ফাঁকি দেয় তাদেরকে করের আওতায় এনে সাধারণ নাগরিকদের কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, শহরের চলমান উন্নয়ন প্রবাহকে সচল রাখতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে ব্যক্তির ওপর করের বোঝা কমাতে করজালের আওতা বৃদ্ধির কৌশল নেওয়া হয়েছে।
গতকাল লালদিঘি পাড় সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি ভবনে আয়োজিত করমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও নীলু নাগ। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, রুমকি সেনগুপ্ত, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ও কর কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন শিকদার।
মেয়র বলেন, জনগণকে করের বোঝা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিটি সার্কেলে গণশুনানির আয়োজন করেছি। জনগণের বক্তব্য শুনে যাচাই করে আপিল করা করদাতাদের গৃহকর সহনশীল পর্যায়ে এনে দিয়েছি।
শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, করদাতাদের সাথে চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের আচরণের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনারা চসিকের অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকা পালন করেন। আপনাদের আচরণের ওপর চসিকের ভাবমূর্তি নির্ভর করছে। ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়াতে আমরা সেরা করদাতাদের পুরস্কৃত করেছি। এ ধরনের সৃজনশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে চসিককে স্বনির্ভর করতে হবে।