ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ‘টার্গেট’ করে ডাকাতি করা একটি গ্রুপের দলনেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মো. হকসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭। গতকাল শনিবার ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার বারইয়ারহাট এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, মো. হক সাব প্রকাশ সম্রাট (২৩), মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (২৪), চাঁন মিয়া (২৮) ও সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগ (৩০)। তারা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে জানা গেছে, এই ডাকাতদল একটি পিকআপ যোগে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ডাকাতির মালামালসহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে ৯ম পৃষ্ঠার ৭ম কলাম
যাচ্ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চলাকালে একটি পিকআপকে থামানোর সংকেত দিলে গাড়ি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। পরে ধাওয়া করে গাড়িটি আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা ডাকাতদলের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজ, ৩৪টি অটোরিঙার ব্যাটারি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি এবং পিকআপটি জব্দ করা হয়।
র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার বলেন, আমরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারি যে, এ ডাকাত দল ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। এরপরই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াই। একপর্যায়ে জানতে পারি শনিবার ভোরে তারা আগ্নেয়াস্ত্র এবং ডাকাতির মালামালসহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করি। এরমধ্যে মো. হক সাবের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ এবং সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যার চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনসহ মোট ২০টি এবং মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চারটি মামলা রয়েছে।