বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক

ফটিকছড়িতে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি | রবিবার , ৫ মে, ২০২৪ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষকরা এখন বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ধান কাটামাড়াই ও ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে কৃষকের ঘরে ঘরে ব্যস্ততা বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে ঝড়বৃষ্টিতে আক্রান্ত না হলে ও বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে মুনাফার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির বিভিন্ন জায়গায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির আশঙ্কায় কাটা ধান মাড়াই ও বাছাই করে গোলাভর্তি করার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক স্বল্পতা ও মজুরি বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ক্ষেতে বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে ঝড়বৃষ্টির আশংকায় রয়েছেন কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে ফসল ঘরে তোলার কাজ করছেন তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে।

উপজেলার ধুরুং এলাকার কৃষক বিশ্বজিৎ রাহা বলেন, ১০০ শতক জমির বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাপদাহের কারণে ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। একজন শ্রমিককে সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ধানকাটা মজুরি দিতে হয় ৮০০ টাকা। আমরা কষ্ট করে জমিতে বাম্পার ধান ফলিয়েছি। এই মুহুর্তে বৃষ্টি হলে পানি জমবে। ফলে ধান ঘরে তুলতে কষ্ট হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ফটিকছড়িতে সর্বমোট ৭ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮ হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনূকূলে থাকায় ফলনও খুব ভাল হয়েছে। বৃষ্টি না হলে কৃষকরা এবার বোরো চাষে লাভবান হতে পারবে। নতুন বিভিন্ন জাতের ধান চাষে সফলতাও দেখা যাচ্ছে। আমরা আমাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ ট্রাক বালি ও ময়লা অপসারণ
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে বহুতল ভবনে আগুন, নামতে গিয়ে শিশুসহ আহত ৬