পটিয়ায় বোনের বাসা থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় তাজমিন আকতার (১৪) নামের এ কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত তাজমিন বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের সোনা আলীর মেয়ে। তিনি ১৫ দিন আগে পটিয়ায় তার বড় বোনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।
নিহতের বড় বোন হামিদা বেগম বলেন, তাজমিন নাইক্ষ্যাংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। ১৫ দিন আগে সে আমার বাসায় বেড়াতে আসে। এরমধ্যে আমার ছেলের সাথে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করা হাইদগাঁও গ্রামের এক ছেলের সাথে তার (তাজমিন) পরিচয় হয়। এর সুবাদে ওই ছেলের সাথে ২ দিন আগেও বেড়াতে বের হয়েছিল সে। আজও (গতকাল) দুপুর বেলা বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে আমি ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়া মিত্র বলেন, সাড়ে ৪টার দিকে তাজমিন নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ ছিল। তার শারিরীক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখি হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ আসাদ বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।