বৈষম্য ও অসমতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনন্তকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর জোট ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর চতুর্থ দিনের আয়োজনে গতকাল শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, জাতির জনক বৈষম্য, অসমতা দূর করার সংগ্রামে তার সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। নিজের দেশকে সোনার বাংলায় রূপ দিতে তার প্রচেষ্টা অনন্তকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। খবর বিডিনিউজের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে প্যারেড গ্রাউন্ডের জোড়া আয়োজনকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেন ওআইসি মহাসচিব। এটা সত্যিই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যে, দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে তখন জাতির জনকের মেয়ে এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বৈষম্য ও অসমতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। তার পিতার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে দূরদর্শী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে এক স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৪ সালে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ওআইসিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়। সেই থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সংগঠনের কাজে অংশ নিয়ে আসছে এবং অবদান রাখছে।
ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর যোগদানের কথা স্মরণ করে মহসচিব বলেন, ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে অংশ নেন। ইসলামী বিশ্বের সঙ্গে নতুন রাষ্ট্রের যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই তিনি এই সম্মেলনে যোগ দেন। আজকের বাংলাদেশ হচ্ছে ধর্মীয় সমপ্রীতি ও শান্তির উজ্জ্বল উদাহরণ। মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য ওআইসি ও বাংলাদেশ সব সময় দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।