জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে যারা আহত হয়েছে তালিকায় শুধু তারাই যেন থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রকৃত আহত ছাড়া তালিকায় কারও নাম কোনভাবে যাতে এলোমেলোভাবে আসতে না পারে সে বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে দেখতে হবে। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের স্মরণ সভা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও সভায় জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামের মত গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জন্ম–মৃত্যুর হার মাত্র ৫১–৫৩ শতাংশ। এ ব্যাপারে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। পারফরমেন্স খারাপ হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। সিভিল সার্জন ও স্থানীয় সরকারের উপ–পরিচালকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে কাজ করলে প্রকৃত জন্ম–মৃত্যুর হার নির্ধারণ করা যাবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি প্রতিনিধি জেলা প্রশাসন। সমম্বয় সভার সিদ্ধান্তগুলো মন্ত্রী পরিষদে পাঠানোর পর সেখান থেকে সিন্ধান্তের পর বাস্তবায়ন হয়। আমরা অনুরোধ করবো যে সরকারের সে সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো আছে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নে তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। সকল কাজে যেন সংস্কার থাকে সেটা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকলে মিলে জেলার সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করবো। সরকারি প্রত্যেক দপ্তরকে সংস্কারের আওতায় এনে মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো সুনিশ্চিত করবো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, টাস্কফোর্স কমিটি গঠনের পর নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে রেকর্ডসংখ্যক জরিমানা করা হয়েছে। এর পরেও সয়াবিন তেল, পেয়াঁজ ও আলুর দামে উর্ধ্বগতি। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্য যাতে ক্রয়–ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ–পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোহাম্মদ নোমান হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল, জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. রাজীব হোসেন, ইনামুল হাছান, মাসুমা জান্নাত, ইশতিয়াক ইমন , জেসমিন আক্তার, অংগ্যজাই মারমা, রিগ্যান চাকমা, এবিএম মশিউজ্জামান, হিমাদ্রী খীসা, বোয়ালখালী পৌর প্রশাসক কানিজ ফাতেমা, মহানগর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. রফিক উল্লাহ, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, বিসিক’র ডিজিএম মো. নিজাম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।