যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার হায়সম আলী তাবাতাবাইকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে বিট্রিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববার বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলায় তাবাতাবাইসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। সংগঠনের সশস্ত্র শাখার চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তাবাতাবাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি পরে হিজবুল্লাহর এক বিবৃতি থেকে নিশ্চিত করা হয়। বিবৃতিতে তাকে মহান কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হলেও সংগঠনের ভেতরে তার সুনির্দিষ্ট পদ উল্লেখ করা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা তাবাতাবাইকে নিষ্ক্রিয় করেছে। এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানায়, হামলার লক্ষ্যই ছিলেন তাবাতাবাই। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, গত বছরের যুদ্ধের পর থেকে এটি ছিল তাবাতাবাইকে হত্যার তৃতীয় প্রচেষ্টা। হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহমুদ ক্বোমাতি এর আগে বলেছিলেন, এ হামলা রেড লাইন অতিক্রম করেছে এবং সংগঠনের নেতৃত্ব প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কি না, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ উপশহরে আজকের হামলা লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের উত্তেজনার দ্বার খুলে দিয়েছে। ১৯৬৮ সালে বৈরুতে জন্ম নেয়া তাবাতাবাইয়ের মা লেবানিজ ও বাবা ইরানি। তিনি দক্ষিণ লেবাননে বড় হন এবং ১২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আরো ২৮ জন আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা এনএএ জানায়, হারেত হ্রেইক এলাকার আল–আরিদ স্ট্রিটের ওই ভবনটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় এবং পার্কিং এলাকা, গাড়ি ও আশপাশের ভবনগুলোতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। বৈরুত থেকে জেইনা খোদর জানান, ইসরায়েল যে দমন–পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে, তা আরো বাড়তে পারে বলে লেবাননে উদ্বেগ বাড়ছে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ এখন খুব কঠিন অবস্থায় আছে।












