বৈরুতে ইসরায়েলের আঘাত হানা ভবনে ছিলেন হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার

| বৃহস্পতিবার , ১ আগস্ট, ২০২৪ at ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গতকাল বুধবার সকালে জানিয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতের যে ভবনটিতে ইসরায়েল আঘাত হেনেছে সেখানে তাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর ছিলেন। তবে তিনি বেঁচে আছেন না নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, তারা হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার শুকরকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় ১২ শিশুকিশোর নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য হিজবুল্লাহ ও এর কমান্ডার শুকরকে দায়ী করেছিল ইসরায়েল। তবে শনিবারের ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ। খবর বিডিনিউজের।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, শুকরের হাতে অনেক ইসরায়েলির রক্ত লেগে আছে। আজ রাতে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমাদের জনগণের রক্তের মূল্য আছে আর এই ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনীর নাগালের বাইরে কোনো জায়গা নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের অন্য আরেকটি দেশের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন শুকর ইসরায়েলি হামলায় আহত হওয়ার পর মারা গেছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর হিজবুল্লাহ গতকাল যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতের শহরতলীর এক আবাসিক ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল আর তাতে বেশ কয়েকজন নাগরিক নিহত ও অন্যরা আহত হয়েছেন। তারা জানায়, ফুয়াদ শুকর ওই সময় ভবনটিতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, গতকাল সকালে দাহিই নামে পরিচিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই এলাকার ঘটনাস্থলে লেবাননের দমকল বাহিনীর দলগুলো হামলার পর সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিল। হিজবুল্লাহ ওই এলাকার চারদিকে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনি স্থাপন করেছে তবে সাংবাদিকদের ছবি তোলা ও ভিডিও করার জন্য সীমিতভাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। দেখে মনে হয়েছে, হামলায় বহুতল একটি ভবনের উপরের তলার এক পাশ ধ্বংস হয়ে গেছে আর ওই অংশের ধ্বংসাবশেষ আশপাশের ভবনে ও রাস্তায় এসে পড়েছে। ওই ভবনে অন্য কোনো বাসিন্দাকে দেখা যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যে ৪ কোটি ভোটারের তথ্য বেহাত
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত