বেনজীর দুদকে হাজির হচ্ছেন নাকি সময় নিচ্ছেন, দেখার বিষয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৪ জুন, ২০২৪ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বিদেশে যেতেই পারেন বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুদকের তলবে ৬ জুন তিনি হাজির হচ্ছেন নাকি সময় নিচ্ছেন, সেটি এখন দেখার বিষয়।

গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, দেখুন, তার (বেনজীর) দেশত্যাগে তো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। আদালতও দেয়নি বা দুদকও দেয়নি। কারও ওপর যখন দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তিনি যেকোনো জায়গায় যেতেই পারেন। ৬ জুন তিনি হাজির হচ্ছেন কি, হচ্ছেন না, সেটি হচ্ছে দেখার বিষয়; নাকি তিনি সময় নিচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। তার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দেরও আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আদালতের আদেশ আসার আগেই বেনজীর ব্যাংক থেকে তার বেশিরভাগ অর্থ তুলে নিয়েছেন। এরপর দেশ ছেড়ে যান। বেনজীর দেশে আছেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অস্পষ্টতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে নেই। এখনো কেন বেনজীরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি সে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতারা বলেছেন, সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ ‘লোক দেখানো ঘটনা’।

এদিকে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। ২৮ মে দুদকের পাঠানো নোটিসে বেনজীরকে আগামী ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করা বাংলাদেশিদের উপর ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত, ডয়চে ভেলের যে প্রতিবেদন সেটার সারমর্ম বোঝা বড় মুশকিল। কারণ কোনো তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে সেই প্রতিবেদন হয় নাই। সেখানে একটি প্রতিবেদন, মনে হচ্ছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের যে অবদান সেটিকে খাটো করার জন্য। ডয়চে ভেলেতে এই রকম মাঝেমধ্যে কিছু প্রতিবেদন করা হয়, যেগুলো আমাদের দেশের স্বার্থবিরোধী এবং দেশকে খাটো করা।

তিনি বলেন, সেখানে সাবস্ট্যানশিয়াল কোনো কিছু নাই এবং এটি অন্তঃসারশূন্য একটি প্রতিবেদন। আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, পেশাগত যোগ্যতার সাথে, অত্যন্ত সুনামের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব সেটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

১৬৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রাণ দেওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যেখানে প্রশংসিত, যেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করে, সেখানে এই প্রতিবেদনের কোনো মূল্য নাই। এগুলো দেশবিরোধী, অন্তঃসারশূন্য প্রতিবেদন।

বেঁধে দেওয়ার সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সময় বাড়াতে চেষ্টা করার কথাও এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে সময়টাকে বর্ধিত করার জন্য। ৩১ মে (কর্মী পাঠানোর) যে ডেডলাইন ছিল, সেটা যেন বর্ধিত করা হয়, সেজন্য আলোচনা চলছে। আর এ ক্ষেত্রে কাদের গাফিলতি ছিল, সেটিও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি যে ডেডলাইন মালয়েশিয়া ইমপোজ করেছে, সেটি যেন আরও কিছুদিন বর্ধিত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবর দেওয়ার আগ মুহূর্তে ‘মৃত’ নবজাতকের কান্নার শব্দ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি দুটোই বেড়েছে