মহামারিকালেও জাতীয় ক্রিকেট দলের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন, জাতীয় দলের প্রতিটি সদস্যের ১০-২০ শতাংশ বেতন বাড়বে। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যপী প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর পর অনেক ক্রিকেট বোর্ডই ক্রিকেটারদের বেতন কেটেছে। এর ফলে অনেকেই মূল বেতন পাচ্ছেন না। কিন্তু ব্যতিক্রম থাকল কেবল টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন। অতিমারিকালেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াতে কার্পণ্য দেখাল না। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একথা জানান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে অন্য বোর্ডের খেলোয়াড় বলেন স্টাফ বলেন বেতন কমাচ্ছে। সেখানে আমি বোর্ড সভাপতিকে অনুরোধ করেছি বেতনটা ১০-২০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য। আমরা মৌখিকভাবে অনুমোদন নিয়েছি যে বেতনটা বাড়বে । তবে সে জন্যও সময় নিতে হবে।’
আকরাম খান বলেন গত মঙ্গলবার বিসিবি’র ১০ম সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, চলতি বছরে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ দেখবে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে বসেন আকরাম। এবং নির্বাচক মন্ডলীর কাছ থেকে ক্রিকেটারদের সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা নিয়েছেন। ‘বোর্ড সভার পর আমরা নির্বাচকদের সাথে বসে মোটামুটি কিছু জানার ব্যাপার ছিল তো আমরা ওটা জেনেছি। আমরা দুই একদিনের মধ্যে খেলোয়াড়দের চিঠিটা পাঠিয়ে দিচ্ছি। মানে ওরা কোন ফরম্যাটে খেলতে আগ্রহী। সেটা আসার সাথে সাথেই চুক্তিটা চূড়ান্ত করে ফেলবো।’
বিসিবি’র সবশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের বেতন ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা এক মাত্র ক্রিকেটার মুমিনুল হকের মাসিক বেতন তিন লাখ টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নেয়া লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমানের বেতন দুই লাখ টাকা করে পান। ‘সি’ ক্যাটাগরির মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুনের বেতন দেড় লাখ করে। আর ‘ডি’ ক্যাটাগরির নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাইম শেখ’র বেতন মাসে এক লাখ টাকা ধার্য্য করা হয়েছিল।