বেতন থেকে ভাতা, কী কী সুবিধা পান মার্কিন প্রেসিডেন্ট

| বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। চার বছর পর ফের ওভাল অফিসে প্রবেশাধিকার পেয়ে গেলেন ট্রাম্প। বিশ্বের সর্বশক্তিমান দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কত বেতন পাবেন তিনি? ভোগ করবেন কী কী সুযোগসুবিধা?

আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টই দেশের সর্বময় কর্তা। ফলে তার বেতনও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। যেখানে আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের গড় বার্ষিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৫৩ লাখ টাকার বেশি, সেখানে প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বেতন কোটিতে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। শুধু বেতন নয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট খরচের জন্য আলাদা ভাতাও পান। এছাড়াও বিনোদন এবং ভ্রমণের জন্য আলাদা অর্থব্যয় করা হয় তার জন্য। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প বার্ষিক অন্যান্য খরচ বাবদ পাবেন প্রায় ৬০ লাখ টাকা। বিনোদন এবং ভ্রমণের জন্য খরচ বাবদ পাবেন যথাক্রমে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ এবং সাড়ে ২২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের জন্য আমেরিকার কোষাগার থেকে বরাদ্দ করা হবে বছরে ৬ কোটি টাকার বেশি। এখানেই শেষ নয়, বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসকে নিজের পছন্দ মতো সাজানোর জন্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পাবেন। তবে বারাক ওবামার মতো অনেকেই সেই অর্থ ব্যয় করেননি। তার পরিবর্তে নিজের তহবিল থেকে খরচ করে হোয়াইট হাউস সাজিয়েছিলেন।

এছাড়াও, যাতায়াতের জন্য পাবেন বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি। লিমুজিন, মেরিন ওয়ান, এয়ার ফোর্স ওয়ান, দ্য বিস্টের মতো গাড়ি ও বিমানের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার দিক থেকে যা বিশ্বে শ্রেষ্ঠ বলেই গণ্য হয়। বার্ষিক পেনশন হিসাবে বছরে দুই কোটি টাকার বেশি পেয়ে থাকেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি, আজীবন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাও মিলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৫.২২ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধআমার বন্ধু ট্রাম্পকে অভিনন্দন : নরেন্দ্র মোদী