করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর কঠোর লকডাউনের বর্ধিত সময়েও ব্যাংক খোলা থাকবে সপ্তাহে চার দিন, লেনদেন চলবে প্রতিদিন সাড়ে ৪ ঘণ্টা।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে ১ জুলাই থেকে লকডাউন কার্যকর হলে ব্যাংকে লেনদেনের সময় তিন ঘণ্টা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বিডিনিউজ
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) থেকে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ব্যাংকে লেনদেন চলবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কাজ সারার জন্য ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে।
সরকার লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করার পর আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্যাংকগুলোর লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করল।
আগের মতোই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
আগের মতোই ব্যাংক খোলা রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে চালাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর প্রিন্সিপাল শাখা ও বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা খোলা রাখতে হবে। সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপ-শাখা সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলা সদরে কমপক্ষে একটি শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো জেলা সদরে একটি এবং এর বাইরে সর্বোচ্চ দু’টি শাখা খোলা রাখতে পারবে।
বিধি-নিষেধ চলাকালে যে সব শাখা বন্ধ থাকবে সেই সব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
লকডাউনের সময়ে এটিএম বুথগুলোতে যথেষ্ট টাকা রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
লকডাউনের সময় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ায় মানা থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।