আকাশ খুলে গেলে পতিত হয় প্রাচীন অক্ষর,
মেঘের ঠোঁট থেকে ঝরে অস্থির চুম্বনের শরীর
জলহাওয়ায় ভিজে যায় জানালার কাচ,
ভিজে যায় পুরোনো ডায়েরির ধূলোজমানো পৃষ্ঠা,
সেখানে কাঁপতে কাঁপতে লেখা
‘তোমায় ভালোবাসা মানেই স্বাধীনতা–সংগীত।’
আমরা শহরচিহ্নের ধূসর প্রান্তে
দাঁড়িয়ে থাকা দুই কিংবদন্তী,
তোমার চুলের ঘ্রাণে মিশত পৌরাণিক সন্ধ্যা,
আমার কণ্ঠে জ্বলে উঠত
নিষিদ্ধ কবিতার লুকোনো অগ্নিসুর।
এখনও বৃষ্টির তপ্ত শিহরণে আমি দেখি রোলিং
শিখার হনননৃত্য। ভালোবেসে ফেলেছিলাম বলেই
আগুনকে শিখিয়েছি জলছোঁয়ার ঐশ্বর্য, বিপ্লবকে
শিখিয়েছি নীরব প্রতীক্ষার অবিনশ্বরতা, আর
তোমাকে একটি সামান্য ‘আমরাই অনিবার্য’ ঘোষণা।