বৃষ্টিতে গর্তে ঝুঁকি, কাদায় দুর্ভোগ

স্ট্র্যান্ড রোডের মাঝিরঘাট-বাংলাবাজার জুট র‌্যালিঘাট

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ জুন, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। এর আগে সকালে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে। ভারী না হলেও বৃষ্টিতে স্বস্তি এসেছে নগরজীবনে। কিন্তু স্বস্তি নেই নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায়। নগরীর জনবহুল ব্যবসা কেন্দ্রটিতে কয়েক বছর ধরে স্ট্র্যান্ড রোড নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী শত শত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানকে মাঝিরঘাট থেকে বাংলাবাজার জুট র‌্যালিঘাট পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে দোকানপাট কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধুলোর আস্তর পড়ে। বৃষ্টি হলে অসংখ্য গর্ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। মূলত সড়কটি মেরামতকারী সংস্থার গাফেলতির কারণে কার্পেটিং কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এজন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ শুষ্ক থাকলে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর সদরঘাট হতে বাংলাবাজার পর্যন্ত রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান। সদরঘাট মোড় থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত নৌযান থেকে আমদানিকৃত নানা পণ্য খালাসের অনেক জেটি বাদেও বেশ কয়েকটি লবণ মিল ও কয়েকশ গোডাউন। কর্ণফুলী নদীকেন্দ্রিক ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে আমদানিকৃত পাথর, কয়লা, চাল, ডাল, স্ক্র্যাপ খালাস হয়। ফলে দিনে-রাতে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে। গতকাল দুপুরে ডাম্পার চালক হানিফ সিকদার বলেন, এখানে প্রতিদিন পাথর খালাস নেওয়ার জন্য আসতে হয়। মাঝিরঘাটে এলেই কলিজা কাঁপে। গর্ত থাকার কারণে সবসময় ভালো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। বিপরীত দিক থেকে গাড়ি এলে তখন বাধ্য হয়ে গর্ত দিয়ে যেতে হয়।
একই কথা বললেন ট্রাক চালক মো. মুছা। তিনি বলেন, এখানে বড় বড় গাড়ি চলাচল করে। প্রায় তিন বছর ধরে সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে। এখনো কাজ শেষ হচ্ছে না। সদরঘাট থেকে মাঝিরঘাট মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং হলেও মাঝিরঘাট থেকে জুট র‌্যালি পর্যন্ত অনেক গর্ত। এগুলো দ্রুত মেরামত করা জরুরি। শুকনো থাকলে গর্ত দেখা যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে গর্ত দেখা যায় না। তাই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি।
স্ট্র্যান্ড রোড এলাকার দোকানি আলী হোসেন বলেন, রোদ থাকলে ধুলোর জন্য বসা যায় না। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। কাদার জন্য হাঁটাচলা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এখন ভাঙা অংশের কাদার কারণে কার্পেটিং রাস্তাও কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, সড়কটির মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। বেশিরভাগ অংশে কার্পেটিং শেষ হয়েছে। মাঝিরঘাটে কিছু অংশ এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে। বৃষ্টি না থাকলে আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির
পরবর্তী নিবন্ধসাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি