বিসিবির ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ ট্রফি জিততে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৬ জুন, ২০২৪ at ৯:২২ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলিয়ে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৭টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কেবিনেটে ত্রিদেশীয় সিরিজের একটি ট্রফি ছাড়া নেই আর কিছু। কয়েকবার আশা জাগিয়েও শিরোপা ঘরে তুলতে না পারার পেছনে ভাগ্যেরও কিছুটা দায় দিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবারের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে ট্রফি জিততে সব কিছু দিয়ে চেষ্টার কথাও বললেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের সাত ফাইনালের সবকটিই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাই বারবার কাছে গিয়েও হতাশ হওয়ার তেতো অনুভূতিটা ভালোই জানা তার। তিনি নিজেও অবশ্য ফাইনাল ম্যাচগুলোতে খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। সাত ফাইনালে তার ফিফটি শুধু একটি। অতীতের ব্যর্থতা ভুলে এবার সামনে তাকিয়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তার মতে, যুক্তরাষ্ট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হওয়া টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেকটি সুযোগ আসছে বাংলাদেশের সামনে।

বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আয়োজন ‘গ্রীনরেড স্টোরি’তে শিরোপা জেতার অভিযানে নামার আগে সবার সমর্থন চেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন সুযোগ তো সবসময়ই থাকে। চেষ্টায় আমাদের কোনো কমতি থাকে না।্‌ এবার আমরা ভালো কিছু করব। ট্রফি জিনিসটা জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। আমরা হয়তো কয়েকটা বড় টুর্নামেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি। আরেকটি সুযোগ আসছে। আমাদের সমর্থন করুন। আমাদের যা সম্ভব সব কিছু করব। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ২০২১ সালের বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে স্কোয়াডেই জায়গা হয়নি তার। বাদ পড়ার ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই লেগেছিল স্পিন অলরাউন্ডারের। কঠোর পরিশ্রম করে আবার জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টিটোয়েন্টির বিশ্ব আসরেও খেলার অপেক্ষায় তিনি। পেছন ফিরে দুই বছর আগের বিশ্বকাপে তাকালে মাহমুদউল্লাহর এখন মনে হয়, দলে থাকা উচিত ছিল তার।

এই ক্রিকেটার বলেন সংগ্রাম তো আমার ক্যারিয়ারজুড়ে কমবেশি ছিল। সবসময়ই আল্লাহ্‌র ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহ্‌র কাছেই সবসময় যা কিছু বলার আমি বলি। সবসময় বিশ্বাস করি, আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা সর্বোত্তম। ভালো সময়, খারাপ সময়, সবকিছুরই একটা শিক্ষণীয় বিষয় থাকে আমি বিশ্বাস করি। ২০২২ বিশ্বকাপে যখন ছিলাম না, মনে হয়েছিল, হয়তো আমি দলে থাকতে পারতাম। কোনো কারণে হয়নি। ওইটার জন্য আমার এখন কোনো আক্ষেপও নেই। সবসময় আলহামদুলিল্লাহ্‌। সবসময় বলি, দলের জন্য যতটুকু করতে পারি, আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক বা অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, সর্বোচ্চটাই সবসময় নিংড়ে দেই। ক্যারিয়ারের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। সামনে হয়তো আর বেশি দিন খেলতে দেখা যাবে না তাকে। এই পর্যায়ে এসে নামের পাশে বিশেষ কোনো অর্জন দেখতে চান কিনা জানতে চাওয়া হলে বরাবরের মতো দলকেই এগিয়ে দেন তিনি।

আমি কখনও আমার নাম নিয়ে চিন্তা করিনি। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয়, তাতেই অনেক খুশি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাস, ডালাসের প্রেইরি ভিউ স্টেডিয়ামে ওই ম্যাচে ভালো করতে পারলেই মিলবে বড় কিছু অর্জনের প্রেরণা। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে কোন কিছু বলা কঠিন। যে কোনো দিনে এটা যে কোনো দলের খেলা হতে পারে। আমাদের যে প্রস্তুতি আছে। আমরা ভালো করছি। আমরা শুরুটা কেমন করি তার ওপর নির্ভর করবে। শুরুটা ভালো করলে আমরা অনেক দূর যাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপেই আজ প্রথম দেখা হচ্ছে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র
পরবর্তী নিবন্ধআবার শীর্ষে ফিরলেন সাকিব