চট্টগ্রামে মহামারি করোনার ছোবলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন নগরীর ও ১ জন জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ দিনে মোট ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, করোনায় চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জন মারা যান ১০ এপ্রিল। এছাড়া করোনাকালে সর্বোচ্চ ৫৪১ জন শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৭৯ জন। ১ হাজার ৮১০টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ২৭৯ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৭১৬ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৯ হাজার ১০০ জন ও জেলার ৯ হাজার ৬১৬ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৬২ জন ও জেলার ১২৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮১০ টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ৭১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে শনাক্ত ২৭৯ জনের মধ্যে ২০৯ জন নগরীর ও ৭০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে নগরীর ৩২ ও জেলার ১৭ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। বিআইটিআইডিতে ৪৪৯ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ৪৯ ও জেলার ১৯ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। চমেকে ৪৬৬ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ৩৩ ও জেলার ৬ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটিতে ১৫২ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ২০ ও জেলার ১৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ২৯ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শেভরণে ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ২৪ জন ও জেলার ৬ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ১৫ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টারে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ৭ জন ও জেলার ১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কঙবাজার মেডিকেল কলেজে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে জেলার ৫ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন জানায়, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৭.৪ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৬০ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৫১ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৫ শতাংশ ও ৬০ থেকে ঊর্ধ্বরা ১৩.৫২ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে গতকাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।











