জীবনের প্রতিটা সময়, প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা সম্পর্ক, প্রতিটা ঘটনা মূল্যবান। চাইলেই কোনটা ভোলা যায় না, ফেলে দেয়া যায় না, ভেঙে দেয়া যায় না, অবহেলা করা যায় না। কারণ একেকটা সময়, একেকটা ঘটনা, একেকটা সম্পর্ক, একেকটা সৃষ্টিকে ‘মূল্যবান’ করার পেছনে রয়েছে কিছু মানুষের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, অনেক মেধা, শ্রম আর ত্যাগের ইতিহাস। একজন মৃত্তিকা শিল্পীর বহু শ্রমের ফসল তার শিল্পকর্ম–মাটির পাত্র বা পুতুলকে চাইলে মুহূর্তেই ভেঙে ফেলা যায়। তবে অস্বীকার করা যায় না তার শ্রম, মেধা ও কর্মের। অবমূল্যায়ন করা যায় না তার সৃষ্টির। শিল্পীর শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলা যত না সহজ, তার চেয়ে হাজারগুণ কঠিন একজন শিল্পী তৈরি করা।
মানুষের স্বভাব বড়ই বিচিত্র। যিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিজের যৌবনের তেরটি বছর কাটিয়েছেন কারাগারে, বহু ত্যাগের বিনিময়ে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা–সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে কতিপয় বিশ্বাসঘাতক জালিমরা। প্রকৃতিগতভাবেই বিশ্বাসঘাতকতার স্বভাব রয়েছে এ জনপদের মানুষের রক্তে। যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল নবাব সিরাজ উদ্ দৌলার সাথে তারই অতি কাছের মানুষ মীর জাফর আলী খাঁ, মীর মদন, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, মোহাম্মদীবেগরা। তবে প্রকৃতির আদালতেই বিচার হয়েছে এসব বিশ্বাসঘাতক জালিমদের। এদের করুণ পরিণতির কথা ইতিহাস সাক্ষী দেয়। পবিত্র কোরআনের সুরা আল–ইমরান–এ মহান আল্লাহ স্পষ্ট করেই বলেছেন– ‘আমি জালিমদের বেশি বেশি সুযোগ দিই, তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য, অত:পর তাদের জন্য রয়েছে অপমানকর শাস্তি।