বিশ্বব্যাংকের ৩৪০ কোটি টাকা বাড়তি অর্থায়ন

ই-জিপি সমপ্রসারণ

| সোমবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কোভিড-১৯ বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় (ই-জিপি) কভারেজ বাড়াতে বাংলাদেশকে চার কোটি ডলার বাড়তি সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে চলমান প্রকল্পে এই বাড়তি অর্থায়ন অনুমোদন পেয়েছে। চলমান এবং নতুন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেড় বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। এই অতিরিক্ত ৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা এখন ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। খবর বাংলানিউজের।
সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) আওতায় বাস্তবায়নাধীন সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপিপি) আওতায় এমন উদ্যোগ। এই অর্থায়ন জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে এবং টেকসই ক্রয়ের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের এবং নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ এবং সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। ‘ক্রয়ের আইন ও বিধির সঠিক প্রতিপালন এবং তা দক্ষতার সঙ্গে সময়মতো করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্য ক্রেতা ও দরদাতার মধ্যে একটি পারস্পরিক আস্থা ও বিধির আলোকে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। ক্রয়চুক্তির সুষ্ঠু ও মানসম্মত বাস্তবায়নে এই দুই পক্ষের সমান দায়িত্ব রয়েছে।
গত ১০ বছরে আমরা সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশন যাকে ই-জিপি বলা হয়। ই-জিপির ফলে সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। জিটিএফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি দরদাতা ও ক্রয়কারীর একটি দ্বিপাক্ষিক প্লাটফর্ম। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পেশাদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং একটি টেকসই ক্রয় পরিবেশ তৈরি করা। দেশের ৬৪ জেলায় গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার ফোরামের (জিটিএফ) কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
বিশ্বব্যাংকের এই অতিরিক্ত অর্থায়ন সকল পাবলিক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে ই-জিপি সমপ্রসারণে সহায়তা করবে। মহামারি এবং অন্যান্য ভবিষ্যৎ জরুরি অবস্থার মধ্যেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ই-জিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক নিলাম, সরাসরি চুক্তি, কাঠামো চুক্তি, ইলেকট্রনিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং অর্থপ্রদান, ক্রয় ডাটা অ্যানালিটিক্স, জিও-ট্যাগিং এবং অন্যান্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালা জারি
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৪৪.০২ কোটি টাকা