সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন, সেটি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল রোববার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নে আজ সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়; বরং এটি সরকারের নীতি–নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। আমরা যেহেতু সরকারের অংশ, তাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। সিদ্ধান্তটি সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়। তাদের পেনশন সরকারি পেনশন স্কিমে থাকবে না। সেক্ষেত্রে আলাদা কিছু করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আলাদা উপায় বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আলাদা করে বিবেচনার যে আলোচনা এসেছে, সেটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থাপন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির প্রসঙ্গ তুললে কোনো মন্তব্য করতে চাননি নওফেল। তার ভাষ্য, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল না হওয়ায় আজ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য হন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আলাদা কাঠামো থাকে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আলাদা সম্মান ও শ্রদ্ধার জায়গা রয়েছে। তাদের মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। তারা তাদের দাবি নিয়ে আমাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন। যেহেতু সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আগামীকাল (সোমবার) থেকে যারা যোগ দেবেন, তারা নতুন পেনশন স্কিমে যাবেন। ২০২৫ সাল থেকে সরকারের সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী সর্বজনীন পেনশন স্কিমে স্থানান্তরিত হবেন।
কর্মবিরতি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, কর্মবিরতিতে অচলাবস্থার বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলছি না। তারা তাদের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আমাদের দেশটি গণতান্ত্রিক। সবারই বাকস্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।