বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস দলের কাছে হারের পর কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছিলেন আসলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে আসতে পারিনি। আমরা অনেক আন্ডার–প্রিপেয়ার্ড ছিলাম। তবে এখন এই অজুহাতগুলো দিয়ে আসলে খুব বেশি লাভ হবে না। তবে এটা বলতে হবে আমরা আন্ডার–প্রিপেয়ার্ড ছিলাম। সাকিবের এমন বক্তব্যের সাথে একমত হতে চাননা বিসিবি। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে অধিনায়কের এই ধরনের কথা বা অজুহাতকে মানতে নারাজ বোর্ড। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা নিয়ে বিসিবি এখনও অপেক্ষা করছে প্রধান কোচ ও টিম ডিরেক্টরের অফিসিয়াল রিপোর্টের জন্য। তারপর তারা নিজেদের করণীয় ঠিক করবে। তবে দলের পারফরম্যান্সে যে বোর্ড চূড়ান্ত হতাশ সেটি অস্বীকার করছেন না কেউ। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান বিশ্বকাপ চলার সময়ই হতাশার কথা বলেছেন। জালাল ইউনুসও বললেন দলের এমন পারফরম্যান্সে তারা মুষড়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হার তারা মানতেই পারছে না।
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বলেননি সাকিব। বরং দল নিয়ে উচ্চাশার কথাই শুনিয়েছিলেন। এখন প্রস্তুুতির কথা বলে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছেন বোর্ড, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের। তবে এসব দায় নিতে রাজি নন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। তিনি বলেন আমরা কোনো কিছুই তাদেরকে দিতে বাদ রাখিনি। সব ধরনের সাপোর্ট, লজিস্টিক সাপোর্ট, কোচদের যত ধরনের চাহিদা ছিল, সব পূরণ করেছি। এখন যে যেভাবেই বলুক প্রস্তুতি ছিল না বা এটা–ওটা ছিল না, আমি তাতে একমত নই। টিম ম্যানেজমেন্ট যা চেয়েছে, আমরা পূরণ করেছি। মানসিক প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ আনা, শারীরিক প্রস্তুতির জন্য জিপিএস ভেস্ট আনা, যা কিছু তারা চেয়েছে সব দিয়েছি। এখন অন্য কিছু বললে তো হবে না।
জালাল ইউনুস বলেন সবাই খেলার মধ্যেই ছিল। এমনকি কোচদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই আমরা ক্রিকেটারদের খুব বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দিতাম না। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে বিদেশের লিগে এক্সপোজারের জন্যই আমরা সবাইকে অনুমতি দিয়েছি। যে যেভাবে চেয়েছে। ওরা কানাডায় খেলেছে, শ্রীলঙ্কায় খেলেছে। যারা চেয়েছে সবাইকেই দিয়েছি যাতে এই অভিজ্ঞতা তারা কাজে লাগাতে পারে।