সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের (২০২৫–২৫) জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে চাকরিরতদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও পেনশনভোগীদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান ও অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের তিনটি জায়গায় পরিবর্তন করে বাকি অংকগুলো অপরিবর্তিত রেখে বাজেট পাস করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ঘোষিত সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা ও পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। নিট পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকার ঊর্ধ্বে পাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও এর নিম্নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, বিচারপতি ও এমপিওভুক্তদের ক্ষেত্রে পৃথক আদেশ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুন ২০২৫–২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতির সামনে তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। পরের দিন ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রতি বছর তাদের মূল বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ পাবেন এবং দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ। কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন প্রদেয় পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এখন চাকরিরতদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ৫০০ টাকা ও পেনশনভোগীদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ২৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩ জুনের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অবসর উত্তর ছুটিতে থাকা (পিআরএল), বরখাস্তকৃত কর্মচারী (তাদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ) ও কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা যাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তারা এই সুবিধার আওতায় আসবেন না। রাজস্ব বাজেটের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই সুবিধার খরচ তাদের নিজস্ব বাজেট থেকেই বহন করতে হবে।