বিরোধী দলকে ভোটে চায় না সরকার : ফখরুল

| মঙ্গলবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দিতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবেই বিএনপি নেতাদেরকে বিভিন্ন মামলায় শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।

গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশল’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির তিনজন সংসদ সদস্যসহ প্রায় সাতশ নেতাকর্মী গুম, প্রায় ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, আমাদের অনেককে নির্বাচনের আগে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে করে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। এর একটাই কারণ, যেন বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে, একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় যাবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই সরকার পতনের বিষয়ে আশাবাদী বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা একটা স্বচ্ছ, অবাধ নির্বাচন চাই বলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চাই। আমি মনে করি, আমরা আজকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের সেই দাবি অর্জন করতে পারব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় প্রমাণ করেছে যে, জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জয়ী হয়েছে। আমরা এবারও বিশ্বাস করি, জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ইন্দোপ্যাসিফিক ভিশনে জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দানের বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের দল বিএনপি জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে নিবেদিত। গণতান্ত্রিক বিশ্বে গৃহীত ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশল বৈশ্বিক একটি অবাধ, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দোপ্যাসিফিকের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থাপত্যকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে বলেও আশা করেন তিনি।

তিনি বলেন, সংযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে বঙ্গোপসাগরের শীর্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পশ্চিম ও পূর্ব গোলার্ধের পাশাপাশি ভারত মহাসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা সহযোগিতা, নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সম্প্রীতি, নিরাপদ নৌ চলাচল, টেকসই অর্থনীতি, মুক্ত বাণিজ্য, জলবায়ু, স্বাস্থ্য, মহামারীর মতো হুমকিগুলোর মোকাবিলার পাশাপাশি একটি অবাধ, মুক্ত, উদার, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশল গ্রহণ করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তাল সাগরে চলছে সমুদ্র স্নান ঝড়-বৃষ্টি মানছেন না কেউই
পরবর্তী নিবন্ধগণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হলে দায়ভার বিএনপির : কাদের