যে পংক্তি আমাকে
বিদ্ধ করে বারুদ,
সর্বক্ষণ বিপ্লব– বিপ্লব
গ্রাফিতি আঁকা প্রাচীর!
আমার প্রাচীন সৌন্দর্যের
সিংহ দ্বার যারা ভাঙে
তাদের বৈরী শব্দবল্লম
আর দেখতে চাই না ।
যে প্রকৃতি নিয়ত আমার
নিশ্বাসে বিষ ঢালে
সবুজ বসন খুলে দেয়
পড়িয়ে দেয় গেরুয়া পোশাক
সে বাসের আলিঙ্গন চাই না
শর্ষে ফুলের হলুদ কান্নাকে
যারা করে ভূমিতে লীন—
শস্যবীজ সজ্জিত সে ভূমিদস্যকে
আমরা কৃষকের মাঠে চাই না।
যে নদীর বালুরাশি –
দুপেয়ে বাঘের প্রহরায়
বিকীর্ণ হরিৎ হারিয়ে
বালুখামারে জমা হয়।
যা দিয়ে তৈরি হয়
কংক্রিটের সুরম্য বাগান
এমন হন্তারক খামারীকে
আমার প্রিয় শহরে চাই না।
মস্ত কাঁটা তারে
যারা ঘিরে রাখে
জাত ও জাতির সীমানা
যেখানে ঝুলে থাকে
ফেলানী আর স্বর্ণা।
আমাদের শিওরে রেখে
ফুলের ঝুড়ি
পদতলে করে
কাকরের ছড়াছড়ি।
সে কাঁটা তারের জঞ্জাাল
নিরপেক্ষ মিমাংসায় ডিঙনো চাই
পদতলের বিষ কংকরগুলো
ছুঁড়ে ফেলতে চাই।
সবুজ অরণ্য জুড়ে বাকলের বায়না
বরফ জ্বলে আগুনের রসনা —
সে আগুন তো আমাদের
কখনও প্রত্যাশায় ছিল না।
যে পংক্তি আমাকে
বিদ্ধ করে বারুদ,
সর্বক্ষণ বিপ্লব–বিপ্লব
গ্রাফিতি আঁকা প্রাচীর!
যারা আমর প্রাচীন সৌন্দর্যের
সিংহ দ্বার ভাঙে
তাদের বৈরী শব্দবল্লম নিয়ে
আর বাঁচতে চাই না।
হে সভ্যতার সন্তানেরা
এমনতো কথা ছিলো না!
এমনতো কথা ছিলো না।