বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কুমির বেষ্টিত জলাভূমিতে ৫ জন ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

| রবিবার , ৪ মে, ২০২৫ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

বলিভিয়ার আমাজোনাস অঞ্চলের জলাভূমিতে জরুরি অবতরণের পর এক বিমানের পাঁচ যাত্রী কুমির বেষ্টিত অবস্থায় আটকা পড়েন, এভাবে ৩৬ ঘণ্টা থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিরা বিমানটির উপরে উঠে বসেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিমানটি নিখোঁজ হয়। এর ৪৮ ঘণ্টা পর স্থানীয় জেলেরা জলাভূমিতে ছোট বিমানটির উপরে তাদের বসে থাকতে দেখেন।

বলিভিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বেনি বিভাগের জরুরি অভিযান কেন্দ্রের পরিচালক উইলসন আভিলা জানান, উদ্ধার পাওয়াদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলট আছেন। তারা বেশ ভাল অবস্থায় আছেন। খবর বিডিনিউজের।

বেনি বিভাগে রেডার থেকে বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার একটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। উদ্ধার পাওয়ার পর পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, বলিভিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাউরেস থেকে মধ্যাঞ্চলীয় ত্রিনিদাদ শহরে যাওয়ার সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে ইতানোমাস নদীর কাছে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন তিনি।

ভেলার্দে জানান, হঠাৎ করেই বিমানটি নিচে নেমে যেতে থাকে তখন তিনি এটিকে একটি অগভীর হ্রদের কাছে জলাভূমিতে নামাতে বাধ্য হন। বিমানটিতে থাকা তারা পাঁচজন এর উপরে উঠে বসে থাকেন। এ সময় চারদিক থেকে কুমির এসে তাদের ঘিরে ধরে বলে জানান তিনি। এগুলোর কোনো কোনটি প্রায় তিন মিটার কাছে চলে আসে।

ভেলার্দে জানান, তার ধারণা চুইয়ে পড়া পেট্রলের গন্ধে কুমিরগুলো সেখানে আসে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করে থাকা সময় তারা একটি অ্যানাকোন্ডাও দেখেন। এ সময় এক যাত্রীর সঙ্গে থাকা কাসাভা রুটি খেয়ে থাকেন তারা। আমরা পানি পান করিনি আর কুমিরগুলোর জন্য কোথাও যেতেও পারিনি, বলেন তিনি। পরে স্থানীয় জেলেরা জলাভূমিতে বিমানটিতে দেখতে পান। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আটকা পড়াদের উদ্ধার করে আনা হয়। উদ্ধার করার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেওয়ারিশ মানবসেবা বৃদ্ধাশ্রমে মানবিক সহায়তা প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের ঝুঁকি এড়াতে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সরু সড়ক প্রশস্ত করা জরুরি