কর্মজীবনে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করেছি। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছি। দুর্নীতি না করেও দুর্নীতির মামলার আসামি হয়েছি। এখন সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। গতকাল অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় রায় ঘোষণার পর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এসব কথা বলেন। রায়ে একাধিক ধারায় প্রদীপকে মোট ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন বিভাগীয় বিশেষ জজ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে দুদক মামলাটি করেন। রায় পরবর্তী প্রদীপের পর পর তার স্ত্রী চুমকিকে কারাগারে নিয়ে যেতে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রদীপের ভালো কাজে ক্ষুব্ধ একটি মহল তাদের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে। একপর্যায়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১১ টার দিকে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে রায় পড়া শেষ হয়। এ সময় দুজনই ছিলের বিমর্ষ, টমলমল করছিল চোখ। একপর্যায়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।