দেশের শেয়ারবাজারে পাইলটিংয়ের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদি চারটি সরকারি সিকিউরিটিজের(ট্রেজারি বন্ড) লেনদেন শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর এবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এ লেনদেন শুরু হয়েছে। গতকাল এ উপলক্ষে সিএসই’র প্রধান কার্যালয়ে পরীক্ষামূলক লেনদেন বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন মেয়াদি চারটি সরকারি সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বন্ড) লেনদেন শুরু হয়েছে, এটি আমাদের শেয়ারবাজারের জন্য মাইলফলক। কারণ আমাদের প্রচুর সরকারি বন্ড রয়েছে। তবে তা কিছু মানুষের কাছে মজুত রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ যাতে লেনদেন করতে পারে সে লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারের পরিধি আরো বাড়ানোর জন্য সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করা দরকার ছিল। সিকিউরিটিজ ও বন্ডের জন্য দেশে একটি দ্বিতীয় বাজারের চাহিদা অর্থনীতির সব সময়ই ছিল। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন পুরোপুরি চালু করার আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এতে আলোচনায় অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব (আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ) ড. নাহিদ হাসান, উপসচিব (অর্থবিভাগ) রুহুল আমিন, বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান. বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান ও জেনারেল ম্যানেজার মাসুমা সুলতানা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ প্রদান করেন সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অর্থ বিভাগ) মো. ফিরোজ আহমেদ, ডেবট ম্যানেজম্যান্ট ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাবিবুর রহমান, বিএসইসির অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মো. লুৎফুল কবির, নজরুল ইসলাম, সিএসই’র পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।