ভারতে কর ফাঁকির অভিযোগের পর এবার মানহানির মামলায় যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি ইন্ডিয়া দ্য মোদী কোশ্চেন নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। যেখানে দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মোদী এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাস্টিস অন ট্রায়াল বিবিসি–র বিরুদ্ধে মানহানির ওই মামলা করেছে। খবর বিডিনিউজের।
তাদের আইনজীবীদের একজন সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, তথ্যচিত্রটি বিদ্বেষপূর্ণভাবে ভারতের মানহানি করা হয়েছে। যে কারণে আমরা এই মামলা করেছি। সোমবার দিল্লি হাই কোর্ট বিবিসির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে এবং আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারত সরকার বিবিসির তথ্যচিত্র সেদেশে প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেটির কোনো ধরণের সমপ্রচার নিষেধ করা হয়।
বিবিসির তথ্যচিত্র এবং গত মার্চ মাসে লন্ডনে ভারতী হাইকশনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন এর ঘটনার কারণে সমপ্রতি লন্ডন ও দিল্লির মধ্যে তিক্ততা দেখা দিয়েছে। এমন একটি সময়ে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে যখন দুই দেশ অবাধ বাণিজ্য নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ইন্ডিয়া দ্য মোদী কোশ্চেন প্রকাশ করা হয়। ভারত সরকার প্রথম থেকেই এই তথ্যচিত্র নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে এটি একটি প্রপাগান্ডা।
তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গত ফেব্রুয়ারিতে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা হঠাৎ করেই ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির কার্যালয়ে টানা তিনদিন ধরে তল্লাশি চালায়। পরে তারা বিবিসির আয়–ব্যয়ের হিসাবে অসংগতি পাওয়ার অভিযোগও তোলে।












