ডিভোর্স বা তালাক অথবা বিবাহবিচ্ছেদ ক্রমাগত বাড়ছে এবং ঘটনাগুলো ঘটছে, তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সন্তানদের ওপর। সে সময়টাতে একটি সন্তান বড় হয় পরিচয়হীন ভাবে, “ব্রোকেন ফ্যামিলি”র মাঝে পড়ে মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চাদের। নিজেদেরকে ভালোবাসার বন্ধনহীন, একাকী আর সঙ্গীহীন ভাবতে ভাবতে একটা সময় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। যেখানে পরিবার হলো আসল বিদ্যালয় সেখানে,দিনের পর দিন মা-বাবার মধ্যে ঝগড়াঝাটি, বকাবকি, গালাগাল, মারপিট এবং অনৈতিক আচরণ দেখতে দেখতে তারা মা-বাবার ওপর ভরসা হারানোর পাশাপাশি নিজেদের উপরও ভরসা হারিয়ে বসে। ফলে সন্ত্রাসবাদের পথে হাঁটতে শুরু করে নিষ্পাপ শিশুরা। বখে যায় জাতির ভবিষ্যৎ, আর অকালে ঝরে যায় মেধা গুলো। যার দরুণ তারা চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যাও করে বসে অনেক সময়। বন্ধুমহলে লজ্জিত হতে হয়, সমাজের কাছে ছোট হয়ে জীবন কাটাতে হয়।
এসকল অভিশাপ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে, নিজেদের মাঝে ধৈর্য্য ধরে সমঝোতা করে নিতে হবে। শেষ কবে, হাতে হাত রেখে প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে গেছেন মনে করুন! শেষ কবে ফুল নিয়ে বাসায় এসেছিলেন? শেষ কবে স্বামীকে বলেছিলেন, তোমার জন্য আজ কি রান্না করবো? শেষ কবে বলেছিলেন স্ত্রীকে, চলো আজ ঘুরে আসি বাইরে থেকে! শেষ কবে দু’জন চোখে চোখে তাকিয়েছে সেটাই মনে নেই অনেকেরই। কেনো হবে এমন? বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন। জনম জনমের বন্ধন। সকলের উচিত উপভোগ্য করে গড়ে তোলা এই জীবনকে। নিজেদের সন্তানেরা কি শিখবে আপনাদের কাছে! ভালোবাসার বন্ধন গুলো পরিবার থেকেই যেনো আসে এভাবে গড়ে তুলুন বৈবাহিক জীবন। সুখী সমৃদ্ধ জীবন হোক সকলের।