বিপ্লব উদ্যানে নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধন

থাকবে জাদুঘরসহ প্রদর্শনী কেন্দ্র, জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ কাঠামো

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের বিপ্লব উদ্যানে নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর আওতায় বিদ্যমান ভবনের দ্বিতীয় তলায় চট্টগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত জাদুঘরসহ প্রদর্শনী কেন্দ্র করা হবে। এছাড়া মাঠের পূর্ব পাশে বাংলাদেশের পতাকার আদলে সবুজ কাঠামো করা হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট।

এদিকে নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের অংশ হিসেবে উদ্যানে বিদ্যমান গ্লাস টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভরাট করা হয়েছে ফোয়ারা। এছাড়া উদ্যানে প্রবেশের মূল পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় ব্যানার টানিয়ে উদ্যানের চারপাশ ঘেরাও করা হয়েছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, এর আগে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বিপ্লব উদ্যানের স্বাভাবিক সৌন্দর্যহানি করা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে সবুজ। এর জায়গায় হয়েছে ইটপাথরের অবকাঠামো। প্রাধান্য পেয়েছে বাণিজ্যিকীকরণ। নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধন হলে আবার নতুন করে স্থাপনা গড়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

তবে তা নাকচ করে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগে সবুজ ধ্বংস করা হচ্ছে বলার সুযোগ নেই। এখন তো সেখানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চলছে। নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর করব। পতাকার আদলে কাঠামো করা হবে। কিডস জোন থাকবে। মাঠে সবুজ থাকবে।

জানা গেছে, নকশা জাতীয় পতাকার আদলের কাঠামোটি হবে স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি। এখানে সবুজ লতাপাতা দিয়ে আবৃত করে বাংলাদেশের পতাকা, বঙ্গবন্ধু ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের কৃতী সন্তানদের প্রতিকৃতি থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত জাদুঘরসহ প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণকালীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত এবং সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত একটি উপদেষ্টা পরিষদ উক্ত কেন্দ্রের সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর চসিকের সাথে স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড ও রিফর্মের সাথে বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনে ২০ বছরের চুক্তি হয়। পরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চুক্তির শর্ত লক্সঘন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করা এক সারি বসার স্থান (দোকানের সামনে) ভেঙে দিয়েছে চসিকের ভ্রাম্যমাণ। একই বছরের ১ অক্টোবর দোতলায় নির্মাণ করা দোকানও ভেঙে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি পুরনো চুক্তি সংশোধন করে নতুনভাবে করা হয়। অবশ্য এবারের চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড। শুধু রিফর্ম কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সেখানে অনুষ্ঠান করা যাবে। এজন্য অস্থায়ী উন্মুক্ত মঞ্চ করা হবে। এছাড়া ২৫টি ডিজিটাল স্ক্রিন, বিলবোর্ড বা মেগা সাইন স্থাপন করার সুযোগ আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক সপ্তাহ ধরে সড়কটি ডুবে আছে কাদাপানিতে
পরবর্তী নিবন্ধ২৬ নভেম্বরের মধ্যে পোস্টার ব্যানার অপসারণ করতে হবে প্রার্থীদের