কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুল হক মার্শাল অবৈধ অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। মার্শাল ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব খতিয়ে না দেখলে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী এ অভিযোগ করেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়া পার্থও একই অভিযোগ করেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব অভিযোগের সুরাহা না হলে পার্থও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহিনুল হক মার্শাল পাল্টা অভিযোগ করেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সংসদ সদস্যরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ কারণে আমার ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
অস্ত্র ও টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সে বাজেটের মধ্যেই তিনি খরচ করছেন। আর ৯ উপজেলায় গিয়ে যেহেতু তাকে প্রচারণা চালাতে হচ্ছে, সেজন্য তার নিরাপত্তার খাতিরেই লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন করছেন তিনি, অবৈধ অস্ত্র নয়।
আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কেউ অভিযোগ করলে নির্বাচন কমিশনের ম্যান্ডেট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যান, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৩ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। মোট ভোটার রয়েছেন ৯৯৪ জন।