বিনিয়োগের সুদ ৮ শতাংশের মধ্যে রাখা প্রয়োজন

ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

প্রাইভেট সেক্টরে ওষুধ শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প একটি অগ্রসরমান শিল্প। এ শিল্প সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও বিনিয়োগযোগ্য হাজার হাজার কোটি টাকা রয়েছে। শুধু আমাদের দেশের অনেকগুলো ব্যাংক বিনিয়োগ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কোন ব্যাংকে ১০ হাজার কোটি, কোন ব্যাংকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য পড়ে আছে। কিন্তু বিনিয়োগ হচ্ছে না। ’
তিনি বলেন, ‘শিল্পে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওষুধ শিল্প এগিয়ে যাওয়ার গতি ধরে রাখার জন্য বাজেটে আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি কর রেয়াত দুই ধরণের সুবিধা দেয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে ওষুধ উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এসব কাঁচামাল আমদানিতে সরকারি সহযোগিতা পাওয়া গেলে পোষাক শিল্পের মতো ওষুধ শিল্পও রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এ আর্থিক গবেষক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সেভেন সিস্টারে যেমন এঙপোর্ট হয়, তেমনি ইউরোপের বাজারেও প্রতিযোগিতামূলকভাবে ওষুধ এঙপোর্ট হয়ে থাকে। চায়না ও ভারতের সাথে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত যে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, ওখানেও যদি সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেয়া যায়, তাহলে সেখানেও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানি সম্ভব। ওষুধ শিল্পে বর্তমানে আমাদের যে মানবসম্পদ রয়েছে, যেভাবে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগগুলো এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামীর সম্প্রসারণমান শিল্পটিতে দক্ষ জনবল যোগান দেয়া সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো বিদেশ থেকে অনেক ওষুধ আমদানি হয়, ভারত থেকেও আমদানি হয়। তাছাড়া দেশের মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা গেলে, আমাদের দেশেও ওষুধের চাহিদাও বাড়বে। এখন চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকখানি ভারতনির্ভর হওয়ায় সেদেশের ওষুধগুলো বাধ্য হয়ে আমাদের আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবার উন্নয়ন ঘটানো গেলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরও এগিয়ে নেয়া গেলে, ওষুধ শিল্পও সমান্তরালভাবে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় যে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, এতে ওষুধ শিল্পের প্রসার ঘটবে। বর্তমানে রপ্তানি আয়ে তৈরি পোষাকখাত প্রথম এবং ওষুধ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সরকারের কাছ থেকে পলিসি ও সিস্টেম সাপোর্ট পাওয়া গেলে এ দেশের ওষুধ শিল্প রপ্তানি আয়ে পোষাক শিল্পের পরে চলে আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে হারুন ইজহার গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে বাজেটে প্রণোদনা জরুরি