বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নেয়ার প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কবে

সম্ভাব্যতা যাচাইসহ নকশার কাজ শেষ হওয়ার পরও তিন বছর পার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরীর পিডিবির সকল ঝুলন্ত তার ২০২২ সালের মধ্যে (আন্ডারগ্রাউন্ডে) মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও গত তিন বছরে সেই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। চট্টগ্রামসহ দেশের চারটি বড় শহরে সকল বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি এনার্জিট্রোন এবং আর অ্যান্ড ডি কে আই এস গ্রুপকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ভূউপরিভাগস্থ বৈদ্যুতিক খুঁটির সকল তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। ২০২১ বছর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ নকশার কাজও শেষ হয়েছিল। নগরীর সড়কের পাশ দিয়ে কিভাবে কাজ করা হবে সে সময় এ বিষয় নিয়ে তৎকালীন চসিক মেয়রের সাথে আলোচনাও হয়েছিল। ২০২২ সালে মাটির নিচ দিয়ে তার নেওয়ার কাজ শুরু কথা ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের শেষ দিকে এসে খবর নিয়ে জানা গেছেপ্রকল্পটি আর এগোয়নি। সম্ভাবনাও কম বলে জানান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এই ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্কেল (পূর্ব) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সম্ভাব্যতা যাচাইও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পটি আর সেই ভাবে এগোয়নি। এখন হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে দেশের চারটি অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় ভূউপরিভাগের বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথম ধাপে পিডিবি তাদের অধীন চারটি বড় শহরে মাটির নিচে বিদ্যুতের তার নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি এনার্জিট্রোন এবং আর অ্যান্ড ডি কে আই এস গ্রুপকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেয়। ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিদ্যুৎ ভবনে এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে কোম্পানি দুটির একটি চুক্তি সই হয়।

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে এনার্জিট্রোন তাদের কাজ শেষ করার কথা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাই করে রিপোর্টও দিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি গত ৩ বছরে আলোর মুখ দেখেনি।

কোম্পানিটি চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাক্কলন, ডিজাইন এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজে পরামর্শ দেবে।

আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং ব্যয়বহুল হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি মেট্টোপলিটন শহরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয় থেকে। প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনদীতে ফিরছে প্রাণ, অনাবাদী জমিতে নতুন ফসলের স্বপ্ন
পরবর্তী নিবন্ধখাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতি নির্বাচনের ১২ দিন পরও ভোট পুনঃগণনার প্রক্রিয়া ভেস্তে গেল