দুজন দু দেশের গ্রেট। আবার দুজন বিশ্বের গ্রেটও। তাই একজন গ্রেটের বিদায়ে অন্যজন পাশে দাড়াবে সেটাইতো নিয়ম। আর সে কাজটাই করলেন ভারতের গ্রেট ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। অনেক সময় এটা দেখা গেছে যে বিরাট কোহলি মাঠের মধ্যে যতটা আগ্রাসী, প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ংকর এক নাম, মাঠের বাইরে ঠিক ততটাই আন্তরিক। এর আগেও অনেকবার কোহলির স্পোর্টসম্যানশিপের পরিচয় দেখা গেছে। এবার দেখা গেলো সাকিব আল হাসানের বিদায় বেলায়। কানপুর টেস্টই ছিল ভারতের মাটিতে সাকিবের শেষ টেস্ট। এমনকি তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টও হতে পারে এটি। এরই মধ্যে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, টেস্ট এবং টি–টোয়েন্টি থেকে তিনি অবসরে যাচ্ছেন। যদিও চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলার ইচ্ছে পোষণ করেছেন সাকিব। সাকিবের আশা মিরপুরে দেশের দর্শকদের সামনে বিদায় নিতে পারবেন। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সেই সুযোগ নাও মিলতে পারে সাকিবের। কেননা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। জরিমানা হয়েছে শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায়। দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে পারেন সাকিব। সেই ভয়ও আছে। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে সাকিব হয়তো আর দেশে ফিরবেন না। সেক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টই হবে সাদা পোশাকে তার শেষ টেস্ট। এমতাবস্থায় বিদায়বেলায় সাকিবকে ব্যাট উপহার দিয়ে সম্মাননা জানালেন কোহলি। কানপুর টেস্ট শেষ হওয়ার পর সাকিবকে তার নিজের একটি ব্যাট উপহার দেন কোহলি। এসময় বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের কাঁধে হাত দিয়ে অনেকক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় তাকে। তবে সাকিব এই উপহার পেয়ে বিরাট কোহলিকে শুধু ধন্যবাদই জানাননি, বরং দারুণ হাসি–খুশি ছিলেন। এমন উপহার সত্যিই আনন্দের এবং গর্বের। কারণ উপহার দাতা যে বিশ্বের সেরা একজন ক্রিকেটার। কোহলির এমন অন্তরঙ্গতা দেখে দুই দেশের মানুষই তার ভীষণ প্রশংসা করছে। সবার মুখে প্রায় একটাই কথা কোহলি যত বড়মাপেরেেখলোয়াড়, তার চেয়েও বড়মাপের মানুষ।