মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন–২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার মিয়ানমারের মংন্ডু শহরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ১ নম্বর মংন্ডু কমান্ডিং অফিসের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেত উইনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিজিপি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে, বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম–উস–সাকিবের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম–উস–সাকিব গতকাল রাতে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। এতে তিনি বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, মিয়ানমার হতে অবৈধভাবে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ (আইস) সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার, মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারীদের ক্যাম্প, আস্তানা অপসারণ, সীমান্তে ইমেপ্রাভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস স্থাপন, মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন, অসতর্কতা বা ভুলবশত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিয়াজো অফিসের কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিজিবি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে স্বদেশে ফেরার জন্য অপেক্ষমান ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফিরিয়ে আনে। এরা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। সম্মেলন শেষে বুধবার বিকেলে বিজিবি প্রতিধিদল বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।