ফোরাম বাংলাদেশের প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ বলেছেন, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। এ শিল্পে অনেক সমস্যা আছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের। আগামী নির্বাচনে আমি বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট হলে পোশাক শিল্পের সকল সমস্যার সমাধান ও ক্ষুদ্র–মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবো। এজন্য আমি মুক্ত আলোচনার বিষয়টি চিন্তা করি এবং এটি নিজেই পরিচালনা করছি। এটার মাধ্যমে চট্টগ্রামের সদস্যরা দেখতে পেরেছেন যে ফয়সাল সামাদ সদস্যদের কথা শুনতে এসেছেন। সব সদস্য পোশাকশিল্পের সমস্যা–সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সব প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছি। এটি ধারাবাহিকভাবে করবো। যাতে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু’র হলরুমে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প এবং ব্যবসার সুযোগ–সুবিধা নিয়ে ‘গার্মেন্টস শিল্পের অগ্নিপরীক্ষা : আমাদের কথা’ শীর্ষক তৃতীয় পর্বের ব্যতিক্রমী এই মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়সাল সামাদ বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে বিজিএমইএতে একটা সেল তৈরি করবো। যেখানে ক্ষুদ্র–মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সঠিক গাইড লাইন দেওয়া হবে। নলেজ শেয়ারিং নিয়ে যদি আমরা কাজ করি তাহলে এসব শিল্পও বড় শিল্পের দিকে এগিয়ে যাবে। সদস্যদের স্বার্থেই বিজিএমইএকে কাজ করতে হবে।
বিজিএমইর ফোরামের এই আয়োজনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানার ১৩০ জন মালিক অংশগ্রহণ করেন। ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও ফোরাম চট্টগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার বেলায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম রহমান, বিজিএমইএ’র পরিচালক ও ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট এমদাদুল হক চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আতিক, ওয়াদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, আরশাদুর রহমান, ট্রেজারার সাইফুল্লাহ মনসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিয়াজ ওয়াইজ, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. শফিকুল ইসলাম টিটু, এমএ সিদ্দিক চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন তালুকদার, কাজী নুরুল ইসলাম মিটু, অফিস সচিব মোহাম্মদ তসলিম, মোহাম্মদ হোসাইনসহ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।