বিজয় মাসের পটভূমি তরুণদের মাঝে সঞ্চারিত করতে হবে

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

মুক্তির মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিশ্ব ইতিহাসে আকাশচুম্বী ত্যাগের মর্মন্তুদ অধ্যায়। ৩০ লক্ষ শহীদান, ২ লক্ষ জননীজায়াকন্যার সর্বোচ্চ সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত কালক্রমে সভ্যতার নিরন্তর পাঠশালায় পরিণত। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও মহান বিজয় যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জনকারীসহ সকলের অবদানকে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। মূলত ২০২৩ সালে এই বিজয় মাস জাতির ভাগ্য নির্ধারণে নতুন এক পরিশিষ্ট রচনা করার অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ। একদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর গণতান্ত্রিকঅসাম্প্রদায়িকমানবিক জীবনযাত্রার পক্ষের শক্তির অবিচল গতিপ্রবাহ; অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দেশদ্রোহী দেশিবিদেশি অশুভ শক্তির কদর্য অপকৌশলের হীন পরিক্রমা। অনগ্রসর থেকে প্রাগ্রসর সমাজের প্রাকপর্ব উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের সামগ্রিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে উঁচুমাত্রিকতায় অধিষ্ঠিত করেছে। উন্নয়নের রোলমডেল খ্যাত দেশের অদম্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে নানামুখী অন্তরায়প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের মতো অন্ধকারের পরাজিত শত্রুরা একতাবদ্ধ হয়ে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার ঘৃণ্য অপকৌশল তৈরিতে ব্যতিব্যস্ত।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতি পুরো শত্রুমুক্ত হওয়ার বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই দেশের অনেক অঞ্চল মুক্ত হলেও; ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিহ্নিত কথিত পরাশক্তির স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ কোনভাবেই থেমে থাকেনি। মহান স্রষ্টার অসীম কৃপায় পুরো বাঙালি জাতির অকুন্ঠ সমর্থনমুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং প্রতিবেশী ভারতসোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী সরকার ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতায় দেশ পূর্ণ স্বাধীন হলে পরবর্তী পর্যায়েও অপশক্তির নোংরা অপরাজনীতি দেশ পুনর্গঠনে দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মাণে নিষ্ফলা লিপ্ত ছিল। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি পাকিস্তান ও তাদের মিত্র বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত একটি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিরলস সংগ্রামে ব্রতী হতে হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন পিএল ৪৮০’র তথাকথিত পরনির্ভরশীলতার ষড়যন্ত্রমূলক চুক্তির শর্ত অবজ্ঞা করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিউবায় পাট রপ্তানির বিষয়কে ঘিরে ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশে খাদ্য শহস্য নিয়ে আসা জাহাজগুলোর পথ ঘুরিয়ে দিয়ে ১৯৭৪ সালে চক্রান্তমূলক নৃশংস দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়েছিল। বাসন্তী নামক এক বাঙালি মেয়েকে মাছ মারার জাল পরিয়ে দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং এদেশকে অকার্যকর করার নানাবিধ অপকৌশল সমূহকে অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও দেশ পরিচালনার দক্ষতায় বঙ্গবন্ধু সামগ্রিক সংকট উত্তরণে বহুলাংশে সফল হয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্ননির্ভরশীল দেশকে পরনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও পরবর্তীতে অল্প সময়ের ব্যবধানে জাতীয় চার নেতাকে সভ্যতার জঘন্যতম নিষ্ঠুর হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও অগ্রযাত্রার ইতিহাসকে পাল্টে দেওয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টা এখনও যে অব্যাহত রয়েছেএটি সহজেই অনুমেয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন এবং রাজনৈতিক গতিশীলতার মূলেই ছিল লোভ, হিংসা ও অহংকারকে নিধন করে সততা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পজ্বলন ঘটিয়ে মেহনতি মানুষের হৃদয় জয় করা এবং সামগ্রিক অর্থে একটি ক্ষুধাদারিদ্রমুক্ত সকলের জন্য সুখী ও কল্যাণকর জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি নির্দেশনার আলোকে বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞ সুচারুরূপে সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অকৃত্রিম ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘ ক্রান্তিকাল ও অন্ধকারের গভীর মেঘ ভেঙ্গে উন্নয়নের সকল সূচক ও বহুমাত্রিকতায় সামষ্টিক উন্নয়নের সার্থক ইতিহাস সৃজনে পরিপূর্ণ সফল হয়েছেন। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় যখন সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করছেন, ঠিক তখনই প্রতিহিংসাপরায়ণ ও দেশবাসী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত পরাজিত শক্তি বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে জঙ্গিউগ্রসন্ত্রাসবাদের আশ্রয়প্রশ্রয়ের নষ্ট মোড়কে নাশকতাসহিংসতাবর্বরতা দিয়ে দেশের মানুষকে শংকিত করার কদর্য কূটচক্রের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবাধসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বার বার ধ্বনিপ্রতিধ্বনিত হয়েছে। দেশের আপামর জনগণসহ বিশ্বের সকল বন্ধুপ্রতিম দেশসরকার ও নাগরিক দেশের পবিত্র সংবিধান সম্মত নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুচারুরূপে নির্বাচন পরিচালনায় আশ্বস্ত হয়েছে। দেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার কুৎসিত উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বিরূপ ভূমিকায় অবতীর্ণ অপশক্তিসমূহের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বরাবরের মতো জঘন্য পদচারণা অধিকমত্রায় অনুভূত। কুটিল চক্রান্তের মোড়কে নানামুখী অহেতুক অরাজকতার আড়ালে নির্বাচন বানচাল বা জনগণের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার নষ্ট কৌশল অবলম্বনে এদের দৌড়ঝাপ অতিশয় পরিলক্ষিত। এটি নির্ধারিত যে, জনগণই সকল শক্তির উৎস এবং জনগণই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এই কঠিন সত্যকে অবজ্ঞা করে নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শক্তিমানতায় নানাধরনের চাপ সৃষ্টিতে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে নিকৃষ্ট পন্থাপ্ররোচনায়ও কথিত পরাশক্তি পিছপা হচ্ছে না।

২২ নভেম্বর ২০২৩ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়। বাংলাদেশের রাশিয়া দূতাবাসের অফিসিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে রূশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচন স্বচ্ছ ও অন্তর্ভূুক্তিমূলক করতে চাওয়ার আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। অক্টোবর শেষে বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত সরকার বিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনা করতে বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এ ধরনের কর্মকান্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপ।’ অতিসম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সম্মানিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তা দেশের জন্য অশনি সংকেত স্বরূপ। ২৭ নভেম্বর ২০২৩ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী আইনবিধি ও কর্মপদ্ধতি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটবিশ্বাসঅবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। বিদেশি শক্তির থাবা রয়েছে। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। হয় সফল, না হয় ব্যর্থ হব। বিতর্ক হবে না, এমন ফলাফল চায় নির্বাচন কমিশন। তবে আমরা অবশ্যই সফল হবো। আমরা দেখতে চাই গ্রহণযোগ্য ভোট।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক এখন দেশে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এই নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে উপলক্ষ করে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে গেছে। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেজন্যই বলা হয় ক্রেডিবল ইলেকশন। ইলেকশন জিনিসটা কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য, চোখে দেখা যায় না, যাবেও না। সার্বিকভাবে যদি জনগণ বলে থাকেন এবারের নির্বাচনটা ফ্রি ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তাহলে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’ ইতিমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়পত্র সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। প্রায় প্রত্যেক দলজোটের পক্ষ থেকে শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়; প্রায় ৩০০ আসনে তাদের মনোনয়নও নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বতাৎপর্যপূর্ণ। ২৬ নভেম্বর গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার তাগিদ দিয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি এবং অন্য দলের প্রার্থী না থাকলে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ বিনা ভোটে নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেই প্রার্থী হলে তাকেও সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের প্রায় প্রত্যেক নগরশহরঅঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে বিজয় মাসের বৈশিষ্ট্যপটভূমিত্যাগের মহান পরিক্রমা নতুন করে তরুণদের মাঝে সঞ্চারিত করার অপূর্ব উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আয়োজনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণ অপরিমেয় উদ্দীপ্ত হওয়ার উপমা দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নিয়ে বক্তব্য প্রদান বিভিন্ন সভা সমাবেশকে শুধু অত্যুজ্জ্বল করে না; পরিচিতচিরচেনা শত্রুদের মুখোশ উন্মোচনও জরুরি বার্তা হিসেবে কার্যকর। সারা মাসব্যাপী সকল আনন্দোৎসব এসব পরাজিত শক্তিদের চরম আশংকিতআতংকিত করে তোলে এবং তাদের হিংস্র অতীত কর্মযজ্ঞকে জনসম্মুখে তুলে আনার কারণে অঞ্চলভেদে তাদের পরিচয়ও উঠে আসে। এসব নিষ্ঠুর চরিত্রের যারা বেঁচে আছে তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আয়োজন অত্যন্ত ভীতিকর। পক্ষান্তরে অনুপ্রবেশকারী বা বোল পাল্টানো যেসব ব্যক্তি সরকার বা দলে নানা ছদ্মবেশে ঘাপটি মেরে সুযোগসুবিধা ভোগ করছে এবং একই সাথে দেশকে অস্থিতিশীল করার সকল অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তাদের পরিচয়েরও বহিঃপ্রকাশ ঘটে। মোদ্দাকথা বিজয় মাসের প্রতিটি দিনক্ষণ আলোকোজ্জ্বল তথ্যউপাত্তের অনুসন্ধান ও নতুন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সকলের হৃদয়ে প্রোথিত করার অসাধারণ বিজয়োৎসবে রূপান্তরিত। প্রাসঙ্গিকতায় ২০২৩ সালের বিজয় মাস একই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আসন্ন জতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিবাদী দেশপ্রেমিক শক্তিকে জয়যুক্ত করার প্রবল সম্ভাবনাকে জাগ্রত করবেই।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ল ৪ বসতঘর