বিচারহীনতার কারণেই ডা. মিজানসহ ট্রিপল মার্ডারের বিচার হয়নি

চমেকে স্মরণসভায় বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ at ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) শহীদ ডা. মিজানের ৩১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে চমেকের নতুন কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন। ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের

সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ইকবাল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজ উদ্দিন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশেন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, শহীদ ডা. মিজানের সহপাঠী নাক, কান, গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুক, পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম ও ন্যাশনাল হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়া চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিকস সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ডা. মাহমুদের রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদুল হক মেজবাহ, ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর, ডা. মফিজ, কামরুল ইসলাম, ডা. দিদারুল আলম, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. রিজভী, ডা. মাবরুর, ডা. তারেক।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই ডা. মিজানুর রহমানসহ ট্রিপল মার্ডারের বিচার গত ৩১ বছরেও হয় নাই। ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের তৎকালীন চমেকসুর ভিপি ও জিএসের নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর এই ট্রিপল মার্ডার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বিগত আওয়ামী লীগের সরকার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদেরকে বিচার না করে বেকসুর খালাস দিয়ে দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সময়মত সম্পন্ন করে খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে পারলে পরবর্তীতে বিডিএস ছাত্র আবিদের মতো আরো অনেক ছাত্রকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হতো না। ডা. মিজান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী ও ডা. রবিউল করিমদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধরাশেদ রউফ – এর অন্ত্যমিল