বিচারকসহ সাক্ষ্য দিলেন আরো পাঁচ জন

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় বিচারক, পুলিশসহ সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো ৫ জন। তারা হলেন বিচারক হারুন অর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক হারুনুর রশিদ, এসআই রাছিব খাঁন, এএসআই নিজাম উদ্দিন ও বিআরটিএ কর্মকর্তা আবদুল করিম। গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। এ সময় মিতুর স্বামী সাবেক এসপি ও মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তার কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ আজাদীকে বলেন, মিতু খুনের মামলায় এ নিয়ে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতসূত্র জানায়, ৫ সাক্ষীর মধ্যে বিচারক হারুন অর রশিদ ২০১৬ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি এ মামলার আসামি মো. মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম এবং মো. আনোয়ার হোসেনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন। একই সময়ে আব্দুল করিম চট্টগ্রাম বিআরটিএ’তে মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষে দুটি গাড়ির মালিকানা বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত এসআই রাছিব খাঁন সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন। পুলিশ পরিদর্শক হারুনুর রশিদ তখন রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি মোতালেব মিয়া, শাহজাহানসহ কয়েকজন আসামির নাম ঠিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অপরজন এএসআই নিজাম উদ্দিনও একই সময়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি কামরুল ইসলাম সিকদারের নামঠিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকমাস পর সীমান্তের পাঁচ স্কুলে পাঠদান শুরু
পরবর্তী নিবন্ধগৃহস্থলি কাজে কাপ্তাই লেকের পানি, প্রভাব বিদ্যুৎ উৎপাদনে