চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তাকে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। তারা গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থের নামান্তর। বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারও তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। জিয়া পরিবার আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লু-প্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেপ্তার করে। তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। যে অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তীতে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও অব্যাহত আছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. আলী, মাহ্বুব আলম, নিয়াজ মো. খান, আবুল হাসেম, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, মো. সেকান্দর, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।