বিএনপি নেতা রিজভী বলেছেন, কানাডার আদালত ‘বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে আখ্যায়িত করেছে এই মর্মে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে ব্যাপকভাবে অপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো এমন কোনো রায় দেয়নি কানাডার আদালত। ২৬ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রায়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ৩ নম্বর সেকশনে বলা হয়েছে– ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এমন কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ পায়নি যাতে প্রতীয়মান হয় যে, বিএনপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত কোনো সংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, ২৬ পাতার সম্পূর্ণ রায়টি কানাডার ফেডারেল কোর্টের ওয়েবসাইটে এখনও বিদ্যমান আছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম প্রকৃত বিষয়টি যাচাই না করে ফ্যাসিস্ট সরকারের হুকুমে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা সত্যানুসন্ধানী গণমাধ্যমের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যহীন। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উপরের চাপে এহেন পরিবেশিত সংবাদ গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। যাচাই–বাছাইহীন মিথ্যা রিপোর্টের জন্য জনমনে সমালোচনার ঝড় বইছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন যারা মালিন্যের ঊর্ধ্বে উঠে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে পারে না। কারণ, এদের রাজনৈতিক দর্শনে বিকৃত ক্ষমতা চর্চার দৃষ্টান্ত ছাড়া জনগণের ক্ষমতার ওপর আস্থার ইতিহাস নেই। এরা স্বৈরতন্ত্রকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বলে মনে করে নিজেরা যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় এসে ভয়ঙ্কর স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। তাই গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমাগত অসত্য প্রচার, অপবাদ এবং বানোয়াট আষাঢ়ে গল্পের ওপরই ভর করে টিকে থাকার যাবতীয় ভয়াল চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। দুঃশাসনের সংকট অনেক ঘন হয়ে এসেছে বলেই এরা অপপ্রচার আর ভুয়া তথ্যকে রাজনৈতিক ইশতেহার বানিয়েছে। অন্য দেশের আদালতের রায়কেও বিকৃত করতে তারা দ্বিধা করেনি।