বিএনপি না, মাথাব্যথা দ্রব্যমূল্য নিয়ে : কাদের

| শনিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথা তারা আমলে নিচ্ছেন না, তাদের ভাবনা এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কী বলবে, কী করবে এটা নিয়ে আমরা বিচলিত না। আমরা বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত। অস্থিরতার মধ্যেও কিন্তু আমাদের জনগণের কোথাও হাহাকার নেই। জনগণের পক্ষ থেকে কোনো বিক্ষোভ আমরা লক্ষ্য করিনি। সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। আমাদের দায়িত্ব যেটা, আমরা সেটা পালন করছি। আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন এ বিষয়টি নিয়ে ভাবিত। খবর বিডিনিউজের।

দেশের মানুষকে যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন, বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহারে যে বক্তব্য জনগণের কাছে ছিল, সেই ইশতেহার বাস্তবায়নে মাথা ঘামাচ্ছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ডেকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কর্ম পরিকল্পনা দিচ্ছেন। কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবার অনুরোধ করেছেন। কথা বেশি না বলে কাজ করার জন্য দায়িত্বশীল সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেখা যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার যখন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, তখনই আবার কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমিতো এ কথা বলিনি যে আগামীকালই দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। আমি বলেছি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। এর অর্থ কি আগামীকাল কমে যাবে? সে আশা দেওয়ার ক্ষমতা আছে আমার? এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা আমার মুখ দিয়ে অন্তত বের হবে না।

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ ‘সাড়া দেয়নি’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হেরে যাবার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি। এখন বিএনপি একটা দল, তার প্রাসঙ্গিকতা নিজেরাই হারিয়ে ফেলেছে। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আরো ভালো হবে কি না এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আরো ভালো হবে না কেন? সারা দুনিয়ার সবাই কিন্তু নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমেরিকাও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলকে সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। একদিকে বৃষ্টি, ঠাণ্ডা, শৈত্যপ্রবাহ অপরদিকে রক্ত। আমেরিকার দুষ্টু ছেলে ইসরায়েল, ইসরায়েল তাদের কথা শুনছে না। বাইডেন বলছে একটা, নেতানিয়াহু বলছে আরেকটা। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছে হামাসকে ধ্বংস করা পর্যন্ত।

মার্কিন চাপ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নে কাদের বলেন, কথা যখন হয়, কথা প্রসঙ্গে অনেক কথায় হয়। স্পেসিফিক কোনো বিষয় নিয়ে আমরা কোনো চাপের মধ্যে নেই। কোনো ব্যাপারে আমরা কোনো চাপের মুখে নেই। আমরা চাপ অনুভব করছি না। অহেতুক একটা বিষয় নিয়ে মাতামাতি করব দরকারটা কি।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র বিষয়টা আছে, থাকবে। ষড়যন্ত্রের ঘাড়ে সব কিছু চাপিয়ে দিয়ে নিষ্কর্ম থাকার কোনো কারণ নাই। রাজনীতি যেখানে আছে, ষড়যন্ত্র সেখানে থাকবে। বিশ্ব রাজনীতি হোক, দেশের রাজনীতি হোক। এখন এর মধ্য দিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, আমরা তো ষড়যন্ত্র রাজনীতি করছি না। আমরা পজেটিভ পলিটিঙ করছি। রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় আছি। যারা ষড়যন্ত্র করে তারা নেতিবাচক ধারায়। পজিটিভ রাজনীতিরই বিজয়ী হবে শেষ পর্যন্ত।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থীদের ওপর এমপিদের প্রভাব বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বড় কাজ করতে হলে, কিছু ছোট ছোট বিষয় আছে, এগুলো এর মধ্যে এসে পড়বে। কারো ইচ্ছায় নির্বাচন প্রভাবিত হবে এর কোনো কারণ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবইমেলার সকালটা শিশুদের, সন্ধ্যায় জনসমুদ্র
পরবর্তী নিবন্ধচবি শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু