বিএনপি কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, প্রশ্ন নাছিরের

মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপিজামায়াতের অরাজকতা ও নাশকতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমাল রক্ষার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ গতকাল বিকালে জেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি মুখে বলে তারা গণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। অথচ তারা এর বিপরীত।

 

তাদের দলের জন্ম বন্দুকের নলের মাধ্যমে। অবৈধ ক্ষমতা দখল করার পর তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া একটি দল কিভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিএনপির মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমের মতো একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া

ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, মুজাহিদ এবং সালাউদ্দীন কাদেরকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন জাগে, বিএনপি কী আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে?

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং সমতাসম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক মুক্তি। তাহলে বিএনপি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে? সংবিধানসম্মতভাবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। এই

সত্যটি বিএনপি নেতারা বুঝেও অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার পথে এগুচ্ছেন। তারা অতীতে আগুন সন্ত্রাস করে ধন সম্পদ পুড়িয়ে ছাই করেছেন। এমনকি শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। তারপরও ক্ষমতায় যেতে পারেনিন। জনগণ জানেন

এবং বুঝেন দেশের উচ্চ আদালত জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সাংবিধানিকভাবে অবৈধ একজন রাষ্ট্রপ্রধানের গড়া দল বিএনপিও অবৈধ। তাই তাদের মুখে গণতন্ত্রের মায়া কান্না শোভা পায় না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকব।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না তখন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে ছিল। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ। তাই অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায়।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য

নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, জাফর আলম চৌধুরী, . নেছার আহমেদ মঞ্জু, হাজী সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, স্বপন কুমার মজুমদার ও শাহেদুল আজম শাকিল।

উপস্থিত ছিলেন শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, চন্দন ধর, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল আহাদ, হাজী জহুর আহমদ, . ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মো. জাবেদ, মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, মো.

আবু তাহের, এএসএম ইসলাম, কাজী আলতাফ হোসেন, আনছারুল হক, আবু তাহের, মো. ইলিয়াছ, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, হাজী আলী বঙ, আবুল হাসেম বাবুল, আব্দুল হান্নান, নুর মোহাম্মদ নুরু, জামাল উদ্দীন, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, গিয়াস উদ্দীন, রুহুল

আমিন মুন্সী, মো. ইয়াকুব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মিথুন বড়ুয়া, আইয়ুব খান, আব্দুর শুক্কুর ফারুকী, দিদারুল আলম মাছুম, সালাউদ্দীন ইবনে আহমেদ, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, খালেদ হায়াত খান মাসুক, লুৎফুল হক খুশি, মো. রিদুয়ানুল হক প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআ. লীগের শান্তি সমাবেশ নিয়ে প্রশ্ন খসরুর
পরবর্তী নিবন্ধশো-রুম নাকি ময়লা ফেলার ‘স্টেশন’