বিএনপির শাসনামলে ‘নিখোঁজ বা গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল, গুম হয়েছিল। সেগুলোর আমরা একটা রিপোর্ট তৈরি করছি।
সবকিছু নিয়েই তদন্ত হোক, সবকিছু নিয়েই একটা ব্যবস্থা হোক, এটা আমরাও চাই। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিএনপির যে নেতাকর্মীরা ‘নিখোঁজ, গুম বা হত্যার’ শিকার হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে সেসব ঘটনার বিচার করার কথা বলছেন দলটির নেতারা। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির সময়ের ‘নিখোঁজ, গুম বা হত্যার’ অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আমরাও কিন্তু একটা স্টেপ নিচ্ছি যে- ওই সময়ে (বিএনপির সময়ে) হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। বিচারহীনভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের একটি তালিকা তৈরি করছি এবং এটি একটি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তার প্রআসাদুজ্জামান খান বলেন, “আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না। রাস্তায়বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নয়।
বারগুলো ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মন্ত্রী বলেন, থার্টি ফার্স্টের আগে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫ হাজার ৬৪২টি গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বড়দিনেও আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোর প্রবেশপথে আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা থাকবে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কূটনীতিক পাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।