তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর–ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।
তিনি গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি এবং জামাত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে, ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুনসন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে এবং তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বড় যাত্রীবাহী বাস, এম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না। একজন সাধারণ মানুষের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া মানে সেই পরিবারটাকে জ্বালিয়ে দেওয়া, কারণ সেটার ওপর তার পরিবার নির্ভর করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী, এরা দুস্কৃতিকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাবো এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য। সরকার এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সমস্ত দুস্কৃতিকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহমুদ। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫–৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আরো কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না। এই সমস্ত বিবৃতি আমাদের দেশেই শুধু ছাপায়, আমাদের দেশের গণমাধ্যম এদের মূল্য দেয় এবং গণমাধ্যমে না ছাপালে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ হয়ে যেতো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি একপেশে পক্ষপাতদুষ্ট সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে, বহু আগেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠন নয়, একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কী বললো, না বললো এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।