বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রণীত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্ণফুলীর উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে ইছানগর তিনটি ওয়ার্ডে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের বিএফডিসি গেইটে (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) বিএনপি ও অংগসংগঠনের উদ্যোগে এ সভার সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মির্জা ইসমাইল।
চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা এম মঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে ভারতের প্রভাব শূন্য দেশ নির্মাণ করতে হবে। আবার ভারতের প্রভাব শূন্য করতে হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাব প্রতিহত করতে হবে। এর জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে রাষ্ট্র সংষ্কার করতে সবাইকে বিএনপির হাত কে শক্তিশালী করতে হবে।’
এতে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান সওদাগর, দক্ষিণ জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রনেতা নুরুল আবসার, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা বাহার উদ্দিন, সাবেক সহ সভাপতি হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক যুবদলের সভাপতি জাগির জাকির, মো. নেছার, জিয়া রহমান, মির্জা মোহাম্মদ আজাদ, মোহাম্মদ আলী আখতার, হোসেন নাসির, এড. সাজ্জাদ হোসেন, আহমদ মো. সাবরিন, নেসার আহমদ, মহিউদ্দিন, নুরুল আলম, হাজী সুলতান মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম গাজী, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল মোনাফ, জাবেদ আখতার, মো. মোরশেদ সহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গগণ।
অনুষ্ঠানে সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামতে’ ৩১ দফা ঘোষণা করেন বিএনপি নেতারা।
৩১ দফা রূপরেখার উল্লেখযোগ্য দিক হলো— বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো; ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন; সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা; পর পর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না; সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে (দেখা হবে) বিবেচনা করা।
এছাড়া রয়েছে— স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল; ‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’ প্রণয়ন; ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন; ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন; সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ; দেড় দশকে গুম-খুনের বিচার; ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে কোনও প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত না করা; মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন; যুক্তরাজ্যের আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন; সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালুর প্রতিশ্রুতিসহ ইত্যাদি।