বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে এক শতাংশ লোক দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের কোনো ভূমিকা নেই। ভূমিকা আছে লুটেরাদের। কিছু উচ্ছিষ্টভোজী বুদ্ধিজীবী তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারতে উৎখাত করতে হবে। এই ছাড়া আর কোনো পথ নাই। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বিএনপি সরকার হবে শ্রমিক নির্ভর-সব পেশার মানুষের। ২০৩০ সালের মধ্যে কল্যাণকর রাষ্ট্র করার জন্য যা যা করা দরকার সব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হালিশহর নয়াবাজারস্থ একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, ঢাকার সমাবেশ ১০ তারিখ নয়াপল্টনেই হবে। এখানে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রশাসনকে বলবো- জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শীমুল বিশ্বাস বলেন, সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা। বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। এই শ্রমজীবী মানুষদের অমর্যাদা অবমূল্যায়ন করে কোন দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। তারা এখন আবোল-তাবোল বকছে। সারাদেশের মানুষ আজকে এই সরকারের পতনের আওয়াজ শোনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছে সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে আপোষ না করে আমরা বার বার গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। এই শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে আবারো আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মঞ্জুরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শ্রম সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।
বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সি. সহ-সভাপতি ইদ্রিস মিয়া, সহ সভাপতি শামসুল আলম (ডক), সি. যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাতেন, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, রাঙ্গামাটি জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ফেনী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের সহ সভাপতি আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া, নোযাখালী জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মহানগর মহিলা শ্রমিলদলের সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, মো. হারুণ, গাজী আইয়ুব আলী, মোতালেব চৌধুরী, মো. আলী, ইব্রাহিম ফরাজী, সফিকুর রহমান মজুমদার, আবু বক্কর সিদ্দিক, হাসান মাহমুদ প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।