চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকারের মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাই আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন। যে বাংলাদেশ আমরা লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করেছি তা এই মাফিয়া সরকারের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সর্বপ্রথম উনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, আজকে যারা পদ্মা সেতুর উন্নয়নের কাহিনী শুনায়, তাদের বলি পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত জার্মানির সেই বিশেষ হাইড্রোলিক হ্যামারটি যেন সেতুর পাশে একটি জাদুঘর তৈরি করে সেখানে সংরক্ষণ করে, যাতে মানুষ গিয়ে দেখতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাশে করা হয়, প্রধানমন্ত্রী যেন সারাক্ষণ পদ্মা সেতুর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন। যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাড়ে নিয়ে আসা হয়, যাতে ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রতিদিন পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারেন।
গতকাল বুধবার বিকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও রোগমুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ- সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।