বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, এখনো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখনো শুনছি, তারা ডাকাতি চাঁদাবাজির সাথে জড়িয়ে আছে। সতর্ক করছি বিএনপির সেই সব মোনাফেকদের, যারা তাদেরকে সহায়তা করছে। এই মানুষদের আমাদের দলে কোনো জায়গা নেই। আমরা এখন নির্বাচনমুখী, সেজন্য আমাদের অনেক কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। নির্বাচন হতে আর তিন চার মাস। তারপরে পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে পদুয়ার রাজারহাট ফুটবল খেলার মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিতে চাঁদাবাজ–দালালদের কোনো জায়গা নেই উল্লেখ করে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল। এখানে চাঁদাবাজদের কোনো জায়গা নেই, আওয়ামী লীগের দালালদের কোনো জায়গা নেই।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মেম্বার। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুহাম্মদ শওকত আলী নূর। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও যুবদল নেতা মো. রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবছার হোসেন তালুকদারসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে হুম্মাম বলেন, পদুয়ায় হাসপাতালের ডিজাইন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী করে গিয়েছিলেন। ১৮ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। কোথায় সেই হাসপাতাল? হাছান মাহমুদ বলে পদুয়ার সন্তান। নিজ বাড়িতে একটা হাসপাতাল করতে পারল না, ডাক্তার আনতে পারল না। সেই হাছান মাহমুদ এখন আর দেশেই নাই, পদুয়াবাসীকে একটা ডাক্তার দিয়ে যেতে পারল না। আশা করি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান দুই তিনটা ডাক্তার বেঁধে নিয়ে আসতে পারবে।
হেফাজত ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, শুধু বিএনপি নয়, গত ১৭ বছর ধরে সব বিরোধী দলই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এখন সময় এসেছে দেশকে গুছিয়ে নেয়ার। রাস্তায় হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্যানার দেখা গেছে। এরা কেউই আমাদের বাইরে নয়। গত ১৭ বছর ধরে তারা আন্দোলনে আমাদের পাশে ছিল। আমরা কাউকে ছোট চোখে দেখি না।