প্রান্তিক এলাকায় সামাজিক সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারলে জাতিসংঘের নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ সহজ হবে মনে করেন চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয়করণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব উইমেন পিসবিল্ডারস (জিএনডব্লিউপি)।
পটিয়া, চন্দনাইশ এবং কক্সবাজার সদর ও উখিয়া উপজেলার ৪৮ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ৪টি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী এ কর্মশালা। ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় কর্মশালা। গতকাল সমাপনী অনুষ্ঠানে জিএনডব্লিউপির সিনিয়র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. জেসমিন নারিও গ্যালাসি, বিএনপিএসের পরিচালক শাহনাজ সুমি, জিএনডব্লিউপির বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার পাহিমা আহমেদ, বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় উপজেলা পর্যায়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে করণীয় ও দুর্যোগকালীন প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ সংক্রান্ত আলোচনা হয়। তিন দিনে ১৯টি সেশনে কর্মশালায় নারী শান্তি নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য, জেন্ডার রীতিনীতি, কমিউনিটির মধ্যে দ্বন্দ্বের মূল কারণ, বাংলাদেশে শান্তি ও সংঘাত, মানবাধিকার এবং খসড়া উন্নয়নে বিএনপিএসের কাজের অভিজ্ঞতা এবং রোডম্যাপ নির্ধারিত হয়। সেখানে বাল্যবিবাহ, মাদক, সহিংসতা, দারিদ্র্য, ধর্মীয় সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে আসে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।