বিআইটিআইডি হাসপাতালে পানি নেই দুই সপ্তাহ

ওয়াসা বলছে কর্ণফুলীতে বেড়েছে লবণাক্ততা, চাহিদা মতো কোথাও সরবরাহ দেয়া যাচ্ছে না

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ধরে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে পানি সংকটের কারণে শৌচাগারসহ পুরো পরিবেশ নোংরা ও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। এ কারণে রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

হাসপাতালটিতে নিজস্ব একটি নলকূপ থাকলেও চাহিদার তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। এতে একদিকে যেমন ভর্তি রোগী, চিকিৎসক ও নার্সদের ভোগান্তি বেড়েছে, অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় চরম বেকায়দায় পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, কোনো কিছু না জানিয়েই গত ২০ মার্চ থেকে হাসপাতালটিতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ওয়াসা। কিন্তু কী কারণে বন্ধ রয়েছে, সে বিষয়টি জানতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়াসার পানি সরবরাহ সচল করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চেষ্টা করলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। এতে বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের ভেতরে থাকা অগভীর নলকূপের পানি দিয়ে জরুরি কাজ সারছেন। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত হওয়ায় একদিকে যেমন তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন, অন্যদিকে পানির অভাবে পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতার কাজে বিঘ্ন ঘটায় হাসপাতালের যত্রতত্র অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পানি সংকটের আগে হাসপাতালটিতে শতাধিক ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতো। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২০২৫ জন ভর্তি হতো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। কিন্তু পানি সংকটের কারণে তা ১০১২ জনে নেমে এসেছে। যারা ভর্তি হচ্ছে তারাও পানি সংকটের কারণে এ হাসপাতাল ছেড়ে অন্য হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে।

বিআইটিআইডি হাসপাতালের পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ওয়াসা। এতে পানি সংকটে রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্সসহ পুরো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম বিপাকে পড়েছে। পানি সরবরাহ সচলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও কোনো সুফল মেলেনি।

চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী ইফতেখার উল্লাহ মামুন বলেন, কর্ণফুলী নদীতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা অনুযায়ী পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সব জায়গায় চাহিদা মতো পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ভারী বৃষ্টিপাতের আগে সংকটের পুরোপুরি নিরসন হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়ে স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল, কুসংস্কার বাড়াচ্ছে ঝুঁকি
পরবর্তী নিবন্ধনদভীকে চেয়ারম্যান করে আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন